আমাদের আজকের বিষয় ক্লাউড কম্পিউটিং। ক্লাউড কম্পিউটিং নামটা শুনেছেন নিশ্চই। না শুনলেও আমরা কিন্তু সবাই কোন না কোন ভাবে ক্লাউড কম্পিউটিং ব্যাবহার করছি।জানতে চান কেনো একে ডিজিটাল রূপান্তরের এর চাবিকাঠি বলা হয়?
আজকের এই ভিডিওতে আমি আপনাদের ক্লাউড কম্পিউটিং এবং ভার্চুয়ালাইজেশন সম্পর্কে বলবো। এ বিষয়ে আপনাদের সব প্রশ্নের উত্তর পাওয়ার জন্য সাথেই থাকুন। প্রথমেই জেনে নিব ক্লাউড কম্পিউটিং কি?
ক্লাউড কম্পিউটিং
ক্লাউড কম্পিউটিং নাম টা শুনে আপনাদের কি মনে হয়? যে কম্পিউটার ক্লাউড বা মেঘে থাকে? না এরকম কিছুই না। ক্লাউড কম্পিউটিং হচ্ছে এমন একটি কম্পিউটার যেটা আপনি ভাড়ায় নিতে পারেন। ধরুন আপনার কিছু ডেটা আছে যা আপনি কম্পিউটারে স্টোর করে রেখেছেন, যা আপনার পাঁচ বছর পর দরকার এবং খুব নিরাপদে রাখা দরকার।
এ ক্ষেত্রে আপনি একটি ক্লাউড সার্ভিস নিতে পারেন, ক্লাউড সার্ভিস এর উদাহরণ হচ্ছে ড্রপবক্স, ওয়ান ড্রাইভ বা গুগল ড্রাইভ। এগুলোকে ক্লাউড স্টোরেজ বলে। এখান থেকে আপনি একটি নির্দিষ্ট টাকা দিয়ে নির্দিষ্ট জিবি স্টোরেজ কিনে আপনার যাবতীয় ডেটা স্টোর করে রাখতে পারেন। সেটা খুব নিরাপদে থাকবে এবং আপনি বিশ্বের যে কোন জায়গা থেকে সেটা অ্যাক্সেস করতে পারবেন।
আগে কি হতো, যদি আপনি একটি অ্যাপ্লিকেশন চালাতে চাইতেন,যেটা আপনার কম্পিউটারে সাপোর্ট করে না তাহলে আপনাকে আপনার নিজের জন্য নতুন হার্ডওয়্যার এবং সফ্টওয়্যার কিনতে হতো। এটিতে সময় এবং খরচ দুটোই বেশি লাগত।কিন্তু ক্লাউড কম্পিউটিং-এর সাহায্যে, আপনি কম্পিউটিং সেবার তাৎক্ষনিক অ্যাক্সেস পেতে পারেন,এটি আপনাকে আপনার নিজস্ব হার্ডওয়্যার এবং সফ্টওয়্যার ক্রয়, রক্ষণাবেক্ষণ এবং আপগ্রেড না করেই সরাসরি কম্পিউটিং সেবার অ্যাক্সেস করতে দেয়৷
ক্লাউড কম্পিউটিং এর প্রকারভেদ
ক্লাউড কম্পিউটিং ৩ ধরনের হতে পারে।
সফটওয়ার এজ এ সার্ভিস (Saas)
Google Drive এর নাম তো আমরা সবাই শুনেছি, অনেকে ব্যাবহার ও করি। Google Drive হলো গুগলের একটি সার্ভিস যার মাধ্যমে আমরা আমাদের নিজেদের ডেটা গুগলের স্টোরেজ স্পেসে জমা রাখতে পারি এবং ইন্টারনেটের মাধ্যমে যেকোনো সময় যে কোনো যায়গা থেকে ব্যাবহার করতে পারি। যে ক্লাউড সার্ভিস দিয়ে এই কাজটা হয় সেটাই হলো সফটওয়্যার এজ এ সার্ভিস। মানে এক্ষেত্রে সফটওয়্যার ভাড়া দেওয়া হচ্ছে।
প্লাটফর্ম এজ এ সার্ভিস (Paas)
প্ল্যাটফর্ম এজ এ সার্ভিস মানে হচ্ছে এ সফটওয়্যার টি তৈরি করতে যে জিনিসগুলো লাগবে সেগুলো টাকার বিনিময়ে ভাড়া দেওয়া। যেমন আমি যদি Window দিয়ে একটি সফটওয়্যার তৈরি করার জন্য Windows টা কোথাও থেকে ভাড়া নেই তাহলে সেটি হবে প্ল্যাটফর্ম এজ এ সার্ভিস।
ইনফ্রাস্ট্রাকচার এজ এ সার্ভিস (Iaas)
আবার আমি যদি আমার প্ল্যাটফর্ম টা যেমন Windows চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় হার্ডওয়্যার গুলো যেমন মনিটর, সিপিউ, কীবোর্ড এগুলো কোথাও থেকে এমনভাবে ভাড়া নেই যেটা আমি যেকোনো যায়গা থেকে টাকার বিনিময়ে নির্দিষ্ট সময় ব্যাবহার করতে পারবো এটা কে বলা হবে ইনফ্রাস্ট্রাকচার এজ এ সার্ভিস।
তাহলে ক্লাউড কম্পিউটিং কি এবং কয় ধরনের হয় এ সম্পর্কে আমরা ধারণা পেয়েছি। এবার চলুন দেখা যাক ক্লাউড কম্পিউটিং এর সুবিধা গুলো কি কি।
ক্লাউড কম্পিউটিং এর সুবিধাসমূহ
কেন ক্লাউড কম্পিউটিং এত জনপ্রিয়? এ প্রশ্নের উত্তর ক্লাউড কম্পিউটিং এর প্রধান ৫ টি সুবিধা থেকেই পাওয়া যায়।
১. খরচ বাচানো:
ক্লাউড কম্পিউটিং থাকায় আপনাকে আর আগের মত ব্যয়বহুল হার্ডওয়্যার বা সফটওয়্যার এ বিনিয়োগ করতে হবে না। আপনি শুধুমাত্র সেই সব সেবার জন্য খরচ করবেন যা আপনি ব্যবহার করবেন এবং যতক্ষন আপনি সেগুলো ব্যবহার করবেন।
ক্লাউড কম্পিউটিং ব্যবহারকারী সংস্থাগুলোর একটি বড় সুবিধা হলো তারা ব্যয়বহুল অবকাঠামো এবং রক্ষণাবেক্ষণের খরচ দেওয়ার পরিবর্তে তাদের পণ্য এবং দল তৈরিতে আরও বেশি বিনিয়োগ করতে পারে।
২. অভিযোজন
আজকের প্রযুক্তির বিশ্বে আমরা প্রতিদিনই নতুন নতুন পরিবর্তন দেখতে পাই, তাই না? পরিবর্তনশীল অবস্থায় ব্যবসাগুলোকে টিকে থাকতে হলে নতুন পরিস্থিতির সাথে দ্রুত খাপ খাইয়ে নিতে হয়।
ক্লাউড কম্পিউটিং থাকায় দীর্ঘমেয়াদী চুক্তি ছাড়াই চাহিদা অনুযায়ী কম্পিউটিং সেবাগুলো অ্যাক্সেস করতে পারায় কোম্পানিগুলো সহজেই তাদের পরিকল্পনা পরিবর্তন করতে পারে।
৩. দ্রুত প্রসার
নিজস্ব সার্ভার কেনা, কনফিগার করা এবং স্থাপন করায় দিনের-পর-দিন সময় না দিয়ে আপনি ক্লাউডের মাধ্যমে শুধুমাত্র ইন্টারনেট ব্যবহার করে কম্পিউটিং সেবাগুলোতে তাৎক্ষনিক অ্যাক্সেস পেতে পারেন৷ এতে করে যেকোনো সংস্থা আগের চেয়ে অনেক দ্রুত তাদের অন্য ও সেবা গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দিতে পারে। এভাবে নতুন উদ্যোক্তার সংখ্যা বাড়ছে আর ব্যবসার প্রসার হচ্ছে।
৪. বিশ্বায়ন
ধরুন আপনার একটি অ্যাপ্লিকেশন আছে। ইন্টারনেটের মাধ্যমে যে কোনও জায়গা থেকে যে কোনও সময় আপনার গ্রাহকেরা সেটা অ্যাক্সেস করতে পারে। শুনতে খুব সহজ আর স্বাভাবিক মনে হলেও আগে এটা খুব ব্যয়বহুল ছিলো।
ক্লাউড কম্পিউটিং আপনাকে কয়েক মিনিটের মধ্যে সারা বিশ্বে আপনার অ্যাপ্লিকেশনগুলো স্থাপন করতে এবং ইন্টারনেটের মাধ্যমে যে কোনও জায়গা থেকে যে কোনও সময় অ্যাক্সেস করতে দেয়৷ আপনি সহজেই গ্রাহকের কাছে পৌঁছাতে পারেন এতে আপনার কর্মদক্ষতা আর গ্রাহক সেবার মান দুটোই বাড়ে।
৫. স্কেলেবিলিটি
স্কেলেবিলিটি বা মাপযোগ্যতা নামটা শুনে যত কঠিন মনে হচ্ছে,এর মানেটা ততই সহজ। এর মানে হচ্ছে ক্লাউড কম্পিউটিং সেবাগুলো যখন আপনার প্রয়োজন তখন ব্যবহার বাড়াতে পারেন এবং যখন আপনার প্রয়োজন নয় তখন আপনার ব্যবহার কমাতে পারেন৷ বা বন্ধ ও রাখতে পারেন। অনেকটা “পে এজ ইউ গো” এর মত। যতটুক ব্যবহার করবেন ততটুকুর জন্য ই পে করবেন।
ক্লাউড কম্পিউটিং এর আরো কিছু সুবিধার মধ্যে রয়েছে দুর্যোগ পুনরুদ্ধার, নিরাপত্তা, সহযোগিতা ইত্যাদি।
এবার নিশ্চয়ই আপনার জানতে ইচ্ছা হচ্ছে ক্লাউড কম্পিউটিং কিভাবে কাজ করে। দেরি না করে চলুন ঘুরে আসি ক্লাউডের দুনিয়া থেকে।
ক্লাউড কম্পিউটিং কিভাবে কাজ করে?
ক্লাউড কম্পিউটিং তৈরি করা হয়েছে শক্তিশালী সার্ভার কম্পিউটারের একটি বিশাল নেটওয়ার্ক জুড়ে, যা সারা বিশ্বের অনেক ডেটা সেন্টারে বিস্তৃত। সার্ভারের এই নেটওয়ার্ককে ক্লাউড সার্ভিস প্রোভাইডাররা দেখাশোনা করে যেমন Amazon Web Services, Google Cloud Platform, ইত্যাদি।
আপনি যখন আপনার ডেটা ষ্টোর করতে অথবা আপনার অ্যাপ্লিকেশনগুলো চালানোর জন্য একটি ক্লাউড কম্পিউটিং সেবা ব্যবহার করেন, তখন আপনি মূলত এই ক্লাউড সার্ভিস প্রোভাইডার দের ভাড়া দেওয়া কম্পিউটিং সেবা ব্যবহার করেন৷
ক্লাউড প্রোভাইডাররা সার্ভারকে রক্ষণাবেক্ষণ করে, প্রয়োজনে আপডেট করে নিশ্চিত করে যে সেগুলো সবসময় ঠিকভাবে চলছে এবং আপনার ডেটা সুরক্ষিত আছে।
পাশাপাশি তাদের আরো কিছু কাজ করতে হয়। এগুলো হচ্ছে
- ডাটা এনক্রিপশন করা, সহজ ভাষায় যার মানে হচ্ছে আপনার স্টোর করা ডেটার গোপনীয়তা নিশ্চিত করার জন্য ক্লাউড সার্ভিস প্রোভাইডাররা আপনার ডেটা কে এক ধরনের গুপ্ত সংকেতে লিখে রাখে এবং এভাবে তৈরি গুপ্ত বার্তায় শুধুমাত্র অনুমতিপ্রাপ্ত কোনও ব্যক্তির প্রবেশাধিকার থাকে।
- ডেটা রেপ্লিকেট করা, মানে আপনার ডেটা যাতে সহজেই পাওয়া যায় ,স্থায়ী হয় এর জন্য ডেটা কে তারা একাধিক সার্ভারে কপি করে রাখে।
- ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়লে অটো-স্কেলিং আউট, কমে গেলে অটো-স্কেলিং ডাউন করা এক কথায় এটা হলো সার্ভারের কেপাসিটি প্রয়োজন অনুযায়ী বাড়ানো কমানো।
- যখন একটি সার্ভারে সমস্যা হয় তখন অন্য একটিতে মাইগ্রেট বা স্থানান্তরিত করা।
- আপনি যে পরিমাণ সেবা নিচ্ছেন তা হিসাব রেখে তার জন্য আপনার বিল বানানো
- ভারচুয়ালাইজেশন করা, এ সম্পর্কে আমরা একটু পরেই বিশদ্ ভাবে জানবো।
ক্লাউড কম্পিউটিং কি, এটার সুবিধা কি, এটা কিভাবে কাজ করে সব ই তো আমরা জানলাম। এখন নিশ্চয়ই জানতে ইচ্ছা হচ্ছে এটা শিখে টাকা উপার্জন করা যাবে কিনা বা এটা পেশা হিসেবে কেমন?
ক্লাউড কম্পিউটিং কেন শিখবেন?
ক্লাউড কম্পিউটিং-এর বৃদ্ধির সাথে, এই ক্ষেত্রে দক্ষ প্রোফেসনালদের চাহিদা কেবলই বাড়বে। ক্লাউড কম্পিউটিং শেখার শীর্ষ কারণগুলো হল:
১। উচ্চ বেতনে চাকরির পাওয়ার সুযোগ
ক্লাউড কম্পিউটিং শিল্প খুব দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী জানা যায় ২০২৯ সালনাগাদ ক্লাউড মার্কেটের মূল্য ৳৩৭৬.৩৬ বিলিয়ন হতে পারে। এছাড়া, আমাদের দেশেও এখন ক্লাউড প্রোফেসনালদের গড় বেতন অন্যান্য আইটি পদের চেয়ে বেশি।
২। সহজে শেখার সুযোগ
ক্লাউড কম্পিউটিং আমাদের মত সাধারন মানুষ এবং প্রতিষ্ঠানদের জন্য নতুন কোন স্কিল শেখার খুব সহজ করে দিয়েছে। যে কেউ ইন্টারনেটের মাধ্যমে যেকোন জায়গা থেকে প্রচুর পরিমাণে তথ্য পেতে পারে, যা তাদের জ্ঞান এবং দক্ষতা বাড়াতে সাহায্য করে।
৩। দক্ষতা বাড়ানো
ক্লাউড কম্পিউটিং জানলে আপনি আপনার নিজের বা যেখানে আপনি কাজ করেন সে কোম্পানিতে – দক্ষতার উন্নতি, খরচ কমানো এবং পণ্য প্ও সেবার গতি বাড়িয়ে, একটি বড় পরিবর্তন আনতে পারেন। আপনার এই দক্ষতা দিয়ে আপনি যে কোনো কোম্পানিতে একটি মূল্যবান সম্পদ হয়ে উঠবেন।
৪। কাজের স্বাধীনতা
ক্লাউড কম্পিউটিং এর মাধ্যমে, আপনি বিশ্বের যেকোন স্থান থেকে আপনার ডেটা এবং অ্যাপ্লিকেশনগুলো অ্যাক্সেস করতে পারবেন, যতক্ষণ আপনার ইন্টারনেট সংযোগ থাকবে। এটি আপনাকে যে কোনও জায়গা থেকে এবং যে কোনও সময় কাজ করার স্বাধীনতা দেয়৷এভাবে কাজ হয়ে যায় সহজ আর কম সময়সাপেক্ষ।
সবশেষে বলবো আপনি একজন স্টুডেন্ট, একজন আইটি প্রোফেসনাল, বা একজন ব্যবসার মালিক যাই হোন না কেন, ক্লাউড কম্পিউটিং সম্পর্কে শেখার মাধ্যমে আপনি প্রযুক্তির দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্বে সফল হওয়ার মত দক্ষতা পেয়ে যাবেন।
ক্লাউড কম্পিউটিং সম্পর্কে জানতে গেলে ভার্চুয়ালাইজেশন শব্দটা অবশ্যই আপনার সামনে আসবে। অনেকেই আমরা এই দুটিকে একসাথে গুলিয়ে ফেলি। তাহলে চলেন জেনে নেই ভার্চুয়ালাইজেশন কি, কেন এটা প্রয়োজন, ক্লাউড কম্পিউটিং এর সাথেই বা এটা কিভাবে জড়িত?
ভার্চুয়ালাইজেশন কি ?
ভার্চুয়ালাইজেশন হল সেই প্রযুক্তি যা দিয়ে আমরা একটা physical resource কে ভাগ করে একাধিক virtual resource এ পরিণত করতে পারি। একটু কঠিন মনে হচ্ছে কি? সহজ করে বলতে গেলে একটা কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার অংশগুলো – যেমন CPU, RAM, Storage, ইত্যাদি এগুলো ভাগ করে অনেকগুলো ভার্চুয়াল ছোট কম্পিউটার বানানো।
ভার্চুয়ালাইজেশনের সাহায্যে, একটি কম্পিউটার কে কয়েকটি ছোট ভাগে ভাগ করা যায়। প্রত্যেকটি ছোট ভাগ নিজেই একটি পরিপূর্ণ কম্পিউটার হিসেবে কাজ করে। ক্লাউড কম্পিউটিং করার জন্য অনেকগুলো সার্ভার মিলে যে বিশাল নেটওয়ার্ক তৈরি করার কথা বলেছিলাম সেটা করা হয় ভার্চুয়ালাইজেশন এর মাধ্যমে। তারমানে হলো ভার্চুয়ালাইজেশন এর মাধ্যমে আমরা ক্লাউড কম্পিউটিং করার পরিবেশ তৈরি করি।
ভার্চুয়ালাইজেশন এর সুবিধা
১। হার্ডওয়্যারের খরচ বাঁচানো
একটা কম্পিউটারের CPU, RAM, etc.আরো দক্ষতার সাথে ব্যবহার করে আমরা হার্ডওয়্যার খরচ কমাতে পেরেছি। এতে করে একটি মেশিনের ছোট ছোট ভার্চুয়াল অংশগুলোতে আমরা একাধিক প্রোজেক্ট চালাতে পারি।
২। অ্যাপ্লিকেশন ব্যাবহার
যেহেতু প্রতিটি ভার্চুয়াল কম্পিউটার একটি ছোট আলাদা সত্যিকার কম্পিউটারের মত কাজ করে, এতে করে এক ভার্চুয়াল কম্পিউটারের অ্যাপগুলো অন্য ভার্চুয়াল কম্পিউটারের অ্যাপের উপর কোন প্রভাব ফেলে না। তাই, আমরা সহজেই প্রতিটি অ্যাপ নিয়ে আলাদাভাবে কাজকরতে পারি।
৩। সহজপ্রাপ্যতা
নতুন হার্ডওয়্যার কেনার থেকে ভার্চুয়াল কম্পিউটার তৈরি করা বা মুছে ফেলা আরো সহজ এবং দ্রুত করা যায়। ভার্চুয়ালাইজেশনের মাধ্যমে আমরা আরো সহজে আমাদের অ্যাপগুলোতে পারফরমেন্স ধরে রাখতে পারি, প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যাবহার বাড়াতে কমাতে পারি।আর, অ্যাপের একাধিক কপি চালিয়ে আমরা প্রাপ্যতা বাড়াতে পারি।
৪। সহজ রক্ষনাবেক্ষন ও নিরাপত্তা
ফিজিকাল কম্পিঊতার গুলোকে কেন্দ্রীয়ভাবে পরিচালিত করা যায় এবং নিরাপত্তার নীতিগুলো কেন্দ্রীয়ভাবে প্রয়োগ করা যায়। মানে একটা মেশিনে ঢুকে ভার্চুয়াল সবগুলো মেশিনকে রক্ষনাবেক্ষন ও আপডেট করা যায়। আলাদা আলাদা যায়গা থেকে সবগুলো মেশিনের দেখশোনা করার চেয়ে এটা অনেক সহজেই করা যাচ্ছে,তাইনা?
ভার্চুয়ালাইজেশনের এর প্রকারভেদ
ভার্চুয়ালাইজেশনের বিভিন্ন প্রকার রয়েছে, যেমন:
- হার্ডওয়্যার (Hardware) ভার্চুয়ালাইজেশন বা ভার্চুয়াল মেশিন (VM)
- অপারেটিং সিস্টেম (OS) ভার্চুয়ালাইজেশন – কন্টেইনার (Containers)
- নেটওয়ার্ক (Network) ভার্চুয়ালাইজেশন
- ডেটা (Data) ভার্চুয়ালাইজেশন
আজকের বেশিরভাগ অ্যাপ্লিকেশনগুলি ভার্চুয়ালাইজেশনের দ্বারা চলে। এমনকি ক্লাউড কম্পিউটিং ও এটার দ্বারা বাস্তবায়ন করা হয়। আজকের ভিডিও তে ক্লাউড কম্পিউটিং আর ভার্চুয়ালাইজেশন সম্পর্কে আপনাদের সহজভাবে ধারনা দেওয়ার চেষ্টা করেছি।
এ সম্পর্কিত কোন প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট সেকশনে করতে পারেন।